ঢাকা ০২:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড মিতালী মার্কেটে চাঁদা বাজদের কাছ থেকে রক্ষা পায়নি ১০ বছরের শিশু

নিজস্ব সংবাদ :

ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে চাঁদা না দেয়ায় মিতালী মার্কেটের তিন তলা থেকে ১০ বছরের শিশুকে লাথি দিয়ে নিচে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই শিশুটির নাম ফজলে ইলাহী, ভবনের নিচে বালুর ঝোপের উপর পড়ায় শিশুটি প্রাণে বেঁচে যায়। তবে তার হাত পা ভেঙে গেছে বলে জানিয়েছে স্বজনরা। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে এই মার্কেটের রনি ও নজরুল ইসলাম মোল্লা সহ। বহু ব্যবসায়ীকে মারধর ও তাদের দোকানের মালামাল লুট করেছে চাঁদাবাজরা। আহত শিশু ফজলে এলাহী মিতালী মার্কেটের এক নম্বর ভবনের ৫৫ নম্বর এলাহী হোসিয়ারি দোকান মালিক নজরুল ইসলামের ছেলে।
আহত উনারা হলেন ২ নম্বর ভবনের ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম মোল্লা(৩৮)ও ৩ নম্বর ভবনের ফ্লিম ফ্যাশনের মালিক রনি ৩৮, শিশু ফজলে এলাহী জানান, একমাস বন্ধ থাকার পর বৃহস্পতিবার চাঁদা নিতে দোকানে আসেন মাইনুদ্দিন, মালিকও আলামিন। এই সময় তাদের সঙ্গে আরও ৪০-৫০ জন লোকছিল। চাঁদা দিতে না চাইলে দোকানের ক্যাশ থেকে ৪৫ হাজার টাকা লুট করে নেই। পরে তাকে ধরে নিয়ে যায় মার্কেটের তৃতীয়তলায় সেখানে নিয়ে মারধর করে লাথি দিয়ে নিচে ফেলে দেয়। ব্যবসায়ী রনি বলেন,সন্ত্রাস দমনের নামে জয়নালের সহযোগী লিটন মোল্লা, মাঈনুদ্দিন ও মহিউদ্দিন সহ ১০ থেকে ১২ জন মার্কেট লুটপাট করেছে । আমরা গোডাউনের তালা ভেঙে প্রায় পৌনে তিন লাখ টাকার মালামাল লুট করেছে । চাঁদা না দিলে জয়নাল ব্যবসায়ীদের লোকজন ধরে অফিসে নিয়ে মারধর করে । ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, জয়নালের লোকজন আমাকে মারধর করে সঙ্গে থাকা ৩৬ হাজার টাকা সিনিয়ে নিয়েছে। আমাকে মার্কেটে আসতে নিষেধ করে দিয়েছে । মার্কেট ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে মিতালী মার্কেটের প্রত্যেক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে দৈনিক ২০০ টাকা করে চাঁদা নিচ্ছে জয়নাল। মার্কেটে নিচে একটি অফিস করে ১০-১৫ জনের বাহিনী গড়ে তোলে সাড়ে চার হাজার দোকান থেকে চাঁদা আদায় করে আসছেন তিনি । গত পাঁচই আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ব্যবসায়ীরা চাঁদা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।গত কয়েকদিন ধরে আবার চাঁদা নিতে আসছে জয়নালের লোকজন। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানাইলেই মারধর করে দোকানের মালামাল নিয়ে যাচ্ছে। তারা দলবল নিয়ে হঠাৎ করে এসে তাণ্ডব চালিয়ে দ্রুত চলে যায় এখনো সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের কার্যক্রম ঠিকমত না হাওয়ায় কোন আইনি সহযোগিতা পাচ্ছিনা।অভিযুক্ত জয়নাল ও তার সহ যোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তাদের মোবাইল নাম্বার বন্ধ , তারা গা ঢাকা দিয়ে থাকেন বলে জানান স্থানীয়রা।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৮:৪৮:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৪
১২৬ বার পড়া হয়েছে

সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড মিতালী মার্কেটে চাঁদা বাজদের কাছ থেকে রক্ষা পায়নি ১০ বছরের শিশু

আপডেট সময় ০৮:৪৮:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৪

ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে চাঁদা না দেয়ায় মিতালী মার্কেটের তিন তলা থেকে ১০ বছরের শিশুকে লাথি দিয়ে নিচে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই শিশুটির নাম ফজলে ইলাহী, ভবনের নিচে বালুর ঝোপের উপর পড়ায় শিশুটি প্রাণে বেঁচে যায়। তবে তার হাত পা ভেঙে গেছে বলে জানিয়েছে স্বজনরা। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে এই মার্কেটের রনি ও নজরুল ইসলাম মোল্লা সহ। বহু ব্যবসায়ীকে মারধর ও তাদের দোকানের মালামাল লুট করেছে চাঁদাবাজরা। আহত শিশু ফজলে এলাহী মিতালী মার্কেটের এক নম্বর ভবনের ৫৫ নম্বর এলাহী হোসিয়ারি দোকান মালিক নজরুল ইসলামের ছেলে।
আহত উনারা হলেন ২ নম্বর ভবনের ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম মোল্লা(৩৮)ও ৩ নম্বর ভবনের ফ্লিম ফ্যাশনের মালিক রনি ৩৮, শিশু ফজলে এলাহী জানান, একমাস বন্ধ থাকার পর বৃহস্পতিবার চাঁদা নিতে দোকানে আসেন মাইনুদ্দিন, মালিকও আলামিন। এই সময় তাদের সঙ্গে আরও ৪০-৫০ জন লোকছিল। চাঁদা দিতে না চাইলে দোকানের ক্যাশ থেকে ৪৫ হাজার টাকা লুট করে নেই। পরে তাকে ধরে নিয়ে যায় মার্কেটের তৃতীয়তলায় সেখানে নিয়ে মারধর করে লাথি দিয়ে নিচে ফেলে দেয়। ব্যবসায়ী রনি বলেন,সন্ত্রাস দমনের নামে জয়নালের সহযোগী লিটন মোল্লা, মাঈনুদ্দিন ও মহিউদ্দিন সহ ১০ থেকে ১২ জন মার্কেট লুটপাট করেছে । আমরা গোডাউনের তালা ভেঙে প্রায় পৌনে তিন লাখ টাকার মালামাল লুট করেছে । চাঁদা না দিলে জয়নাল ব্যবসায়ীদের লোকজন ধরে অফিসে নিয়ে মারধর করে । ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, জয়নালের লোকজন আমাকে মারধর করে সঙ্গে থাকা ৩৬ হাজার টাকা সিনিয়ে নিয়েছে। আমাকে মার্কেটে আসতে নিষেধ করে দিয়েছে । মার্কেট ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে মিতালী মার্কেটের প্রত্যেক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে দৈনিক ২০০ টাকা করে চাঁদা নিচ্ছে জয়নাল। মার্কেটে নিচে একটি অফিস করে ১০-১৫ জনের বাহিনী গড়ে তোলে সাড়ে চার হাজার দোকান থেকে চাঁদা আদায় করে আসছেন তিনি । গত পাঁচই আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ব্যবসায়ীরা চাঁদা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।গত কয়েকদিন ধরে আবার চাঁদা নিতে আসছে জয়নালের লোকজন। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানাইলেই মারধর করে দোকানের মালামাল নিয়ে যাচ্ছে। তারা দলবল নিয়ে হঠাৎ করে এসে তাণ্ডব চালিয়ে দ্রুত চলে যায় এখনো সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের কার্যক্রম ঠিকমত না হাওয়ায় কোন আইনি সহযোগিতা পাচ্ছিনা।অভিযুক্ত জয়নাল ও তার সহ যোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তাদের মোবাইল নাম্বার বন্ধ , তারা গা ঢাকা দিয়ে থাকেন বলে জানান স্থানীয়রা।