ঢাকা ১১:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ০১ জানুয়ারী ২০২৫, ১৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কমলনগরে পোল্ট্রি খামারের ময়লার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

নিজস্ব সংবাদ :

ভাস্কর মজুমদার নিজস্ব (প্রতিবেদক):
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে একটি পোল্ট্রি খামারের ময়লার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে ক্ষোভে ফুঁসছে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী। এবিষয়ে স্হানীয় ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বারের কাছে অভিযোগ দিয়েও প্রতিকার না পেয়ে উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের চরজাঙ্গালিয়া এলাকার স্হানীয়রা ২৪ জুলাই সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে ক্ষোভ জানিয়ে বক্তব্য রাখেন স্হানীয় আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল কোম্পানি, আলেক্সান্ডার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক সিনিয়র শিক্ষক মো: সামসউদ্দিন, ফজল আমিন, রহিম মিয়া, হারুন ব্যাপারীসহ এলাকার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ। এসময় বক্তারা বলেন, পোলট্রি খামারের বর্জ্যে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। তীব্র দুর্গন্ধে ওই গ্রামের বাসিন্দাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
দুর্গন্ধে আশপাশের মানুষের দুর্ভোগের সীমা থাকে না। আশপাশের রাস্তায় চলতে হয় দুর্গন্ধের মধ্য দিয়ে। মুরগির বিষ্ঠা ট্রাকে করে নেওয়ার সময় গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে আশপাশে। রাস্তা খারাপ হওয়ায় ঝাঁকুনিতে ট্রাক থেকে বিষ্ঠা পড়ে যায়। ফলে ওই সব সড়কেও দুর্গন্ধের মধ্য দিয়ে চলতে হয় সাধারণ মানুষকে।
এই পোল্ট্রি খামারের পাশের রাস্তা দিয়ে দূষিত ময়লার গন্ধ সহ্য করে কিন্ডারগার্টেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রী ছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও মসজিদের মুসল্লীসহ হাজার হাজার সাধারণ মানুষেরমধ্যে প্রতিদিন আসা-যাওয়া করতে হয়। পোল্ট্রি খামারের দুষিত ময়লা রাস্তার পাশের পুকুরে এসে জমা হয়ে মারাত্মক দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়। এতে করে এই রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী পথচারীসহ এলাকাবাসীর বায়ু দূষণের গন্ধে হাটাচলা ও বসবাস করা কঠিন হয়ে পড়েছে। ভুক্তভোগীরা আরও জানান, এ বিষয়ে এলাকার ইউপি সদস্য সোলেমানের কাছেও অভিযোগ দেয়া হয়েছিল তাতে কোনো কাজ হয়নি। বায়ু দূষণকারী পোল্ট্রি খামার বন্ধ করার জন্য আমাদের যেখানে যাওয়ার দরকার সেখানে গিয়ে অভিযোগ দিবো।

পোল্ট্রি খামারের ময়লার দুর্গন্ধের কারনে এলাকাবাসীর বায়ু দূষনের ক্ষতির অভিযোগের বিষয়টি নিয়ে খামারের মালিক তানজিদের কাছে বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কিছু দিন পরে বায়োগ্যাসের মাধ্যমে বিষয়টির সমাধান করিবো। পোল্ট্রি খামার করতে হলে পরিবেশ অধিদপ্তর ও প্রাণী সম্পদ বিভাগ থেকে অনুমতি নিতে হয় প্রশ্ন করলে ‘অভিযুক্ত’ পোল্ট্রি খামার মালিক তানজিদ বলেন, আমার ট্রেড লাইসেন্সসহ সকল কাগজপত্র ব্যাংকে জমা দিয়ে ১০ লক্ষ টাকা লোন নিয়েছি।
হাজিরহাট ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার মো: সোলেমান বলেন, আমি পোল্ট্রি খামারের পরিচালক তানজিদকে গর্ত খুঁড়ে বর্জ্যে মাটি চাপা দেয়ার জন্য বলেছি, কিন্তু সে আমার কথা শুনে না।
লক্ষ্মীপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক হারুনর রশীদ পাঠান বলেন, পোল্ট্রি খামারের কারণে এলাকার পরিবেশ দূষণ হলে ব্যবস্হা নেয়া হবে। তিনি ভুক্তভোগীদের লিখিত অভিযোগ দেয়ার জন্য বলেন।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৭:০১:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৪
৮৭ বার পড়া হয়েছে

কমলনগরে পোল্ট্রি খামারের ময়লার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

আপডেট সময় ০৭:০১:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৪

ভাস্কর মজুমদার নিজস্ব (প্রতিবেদক):
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে একটি পোল্ট্রি খামারের ময়লার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে ক্ষোভে ফুঁসছে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী। এবিষয়ে স্হানীয় ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বারের কাছে অভিযোগ দিয়েও প্রতিকার না পেয়ে উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের চরজাঙ্গালিয়া এলাকার স্হানীয়রা ২৪ জুলাই সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে ক্ষোভ জানিয়ে বক্তব্য রাখেন স্হানীয় আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল কোম্পানি, আলেক্সান্ডার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক সিনিয়র শিক্ষক মো: সামসউদ্দিন, ফজল আমিন, রহিম মিয়া, হারুন ব্যাপারীসহ এলাকার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ। এসময় বক্তারা বলেন, পোলট্রি খামারের বর্জ্যে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। তীব্র দুর্গন্ধে ওই গ্রামের বাসিন্দাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
দুর্গন্ধে আশপাশের মানুষের দুর্ভোগের সীমা থাকে না। আশপাশের রাস্তায় চলতে হয় দুর্গন্ধের মধ্য দিয়ে। মুরগির বিষ্ঠা ট্রাকে করে নেওয়ার সময় গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে আশপাশে। রাস্তা খারাপ হওয়ায় ঝাঁকুনিতে ট্রাক থেকে বিষ্ঠা পড়ে যায়। ফলে ওই সব সড়কেও দুর্গন্ধের মধ্য দিয়ে চলতে হয় সাধারণ মানুষকে।
এই পোল্ট্রি খামারের পাশের রাস্তা দিয়ে দূষিত ময়লার গন্ধ সহ্য করে কিন্ডারগার্টেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রী ছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও মসজিদের মুসল্লীসহ হাজার হাজার সাধারণ মানুষেরমধ্যে প্রতিদিন আসা-যাওয়া করতে হয়। পোল্ট্রি খামারের দুষিত ময়লা রাস্তার পাশের পুকুরে এসে জমা হয়ে মারাত্মক দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়। এতে করে এই রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী পথচারীসহ এলাকাবাসীর বায়ু দূষণের গন্ধে হাটাচলা ও বসবাস করা কঠিন হয়ে পড়েছে। ভুক্তভোগীরা আরও জানান, এ বিষয়ে এলাকার ইউপি সদস্য সোলেমানের কাছেও অভিযোগ দেয়া হয়েছিল তাতে কোনো কাজ হয়নি। বায়ু দূষণকারী পোল্ট্রি খামার বন্ধ করার জন্য আমাদের যেখানে যাওয়ার দরকার সেখানে গিয়ে অভিযোগ দিবো।

পোল্ট্রি খামারের ময়লার দুর্গন্ধের কারনে এলাকাবাসীর বায়ু দূষনের ক্ষতির অভিযোগের বিষয়টি নিয়ে খামারের মালিক তানজিদের কাছে বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কিছু দিন পরে বায়োগ্যাসের মাধ্যমে বিষয়টির সমাধান করিবো। পোল্ট্রি খামার করতে হলে পরিবেশ অধিদপ্তর ও প্রাণী সম্পদ বিভাগ থেকে অনুমতি নিতে হয় প্রশ্ন করলে ‘অভিযুক্ত’ পোল্ট্রি খামার মালিক তানজিদ বলেন, আমার ট্রেড লাইসেন্সসহ সকল কাগজপত্র ব্যাংকে জমা দিয়ে ১০ লক্ষ টাকা লোন নিয়েছি।
হাজিরহাট ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার মো: সোলেমান বলেন, আমি পোল্ট্রি খামারের পরিচালক তানজিদকে গর্ত খুঁড়ে বর্জ্যে মাটি চাপা দেয়ার জন্য বলেছি, কিন্তু সে আমার কথা শুনে না।
লক্ষ্মীপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক হারুনর রশীদ পাঠান বলেন, পোল্ট্রি খামারের কারণে এলাকার পরিবেশ দূষণ হলে ব্যবস্হা নেয়া হবে। তিনি ভুক্তভোগীদের লিখিত অভিযোগ দেয়ার জন্য বলেন।