ঢাকা ১২:০১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দিঘলিয়ায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নিয়োগে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ।

নিজস্ব সংবাদ :

খুলনা জেলা প্রতিনিধি–

খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার চন্দনীমহল গ্রামে অবস্থিত এ্যাপেক্স মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইফুদ্দিন লস্করের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ে শিক্ষক/কর্মচারী নিয়োগে দুর্নীতি,স্বজনপ্রীতি, বিদ্যালয়ের জমিসহ সরকারি জমি দখলসহ স্বাক্ষর জাল করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সকল বিষয়ে একাধিক লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে দিঘলিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট।

তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, দিঘলিয়া উপজেলার চন্দনীমহল গ্রামে অবস্থিত এ্যাপেক্স মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইফুদ্দিন লস্কর দায়িত্বে থাকাকালীন ছোট ভাইয়ের শালা বউ শাহনাজ সুলতানাকে ২০২৩ সালে সহকারী প্রধান শিক্ষক, নিজ কন্যা শাহানারা ইয়াসমিন সুমনাকে ০১-০৪- ২০২০ইং করনাকালীন সময়ে সহকারী গ্রন্থগার,১৪-১২- ২০১৪ আপন ছোট ভাইয়ের শালা বউ রেশমা বেগমকে আয়া,আপন খালাতো ভাই ফারুক আনসারীকে ০১-০৩-২০২৩ইং অফিস সহায়ক, একই তারিখে আপন ছোট ভাইয়ের আরেক শালা বউ রিমা খাতুনকে ক্লিনার হিসাবে স্বজন প্রীতির মাধ্যমে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। যা নিয়ে রীতিমতো এলাকায় হৈচৈ পড়ে গেছে। বিদ্যালয় সংলগ্ন জনৈক হায়দার আলি এসকল নিয়োগে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি হয়েছে মর্মে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।

অন্য দিকে এ্যাপেক্স মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইফুদ্দিন লস্করের বিরুদ্ধে শিক্ষক /কর্মচারীদের মাসিক বিল ভাউচারে ভূয়া/জাল স্বাক্ষর করে বিল উত্তোলনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। তিনি বিদ্যালয়ের নাম ভাঙিয়ে সরকারি খাস খতিয়ানের চন্দনীমহল মৌজার ৮নং খতিয়ানে ৪২৯৪ দাগে ১শতক, ৪২৯৫ দাগে ১শতক জমি দখল করে পাকা ইমারত নির্মাণ করেছেন।একই খতিয়ানের ৪৫৬৬ নং দাগে ৮৬ শতক ও ৪৫৬৭ দাগে ১৯ শতাংশ বিদ্যালয়ের জমি জোর পূর্বক দখল করে চাষাবাদ করছেন। এলাকাবাসী বিষয়টি নিয়ে কথা বললে বিভিন্ন ধরণের ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করা হয় বলে ৪৭জন স্বাক্ষরিত এক লিখিত অভিযোগে বলা হয়।
এসকল অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ফজলুর রহমানকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির অপর দু সদস্য হলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার মাকসুদা খানম ও উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৩:৫০:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
৮৮ বার পড়া হয়েছে

দিঘলিয়ায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নিয়োগে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ।

আপডেট সময় ০৩:৫০:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

খুলনা জেলা প্রতিনিধি–

খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার চন্দনীমহল গ্রামে অবস্থিত এ্যাপেক্স মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইফুদ্দিন লস্করের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ে শিক্ষক/কর্মচারী নিয়োগে দুর্নীতি,স্বজনপ্রীতি, বিদ্যালয়ের জমিসহ সরকারি জমি দখলসহ স্বাক্ষর জাল করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সকল বিষয়ে একাধিক লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে দিঘলিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট।

তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, দিঘলিয়া উপজেলার চন্দনীমহল গ্রামে অবস্থিত এ্যাপেক্স মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইফুদ্দিন লস্কর দায়িত্বে থাকাকালীন ছোট ভাইয়ের শালা বউ শাহনাজ সুলতানাকে ২০২৩ সালে সহকারী প্রধান শিক্ষক, নিজ কন্যা শাহানারা ইয়াসমিন সুমনাকে ০১-০৪- ২০২০ইং করনাকালীন সময়ে সহকারী গ্রন্থগার,১৪-১২- ২০১৪ আপন ছোট ভাইয়ের শালা বউ রেশমা বেগমকে আয়া,আপন খালাতো ভাই ফারুক আনসারীকে ০১-০৩-২০২৩ইং অফিস সহায়ক, একই তারিখে আপন ছোট ভাইয়ের আরেক শালা বউ রিমা খাতুনকে ক্লিনার হিসাবে স্বজন প্রীতির মাধ্যমে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। যা নিয়ে রীতিমতো এলাকায় হৈচৈ পড়ে গেছে। বিদ্যালয় সংলগ্ন জনৈক হায়দার আলি এসকল নিয়োগে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি হয়েছে মর্মে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।

অন্য দিকে এ্যাপেক্স মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইফুদ্দিন লস্করের বিরুদ্ধে শিক্ষক /কর্মচারীদের মাসিক বিল ভাউচারে ভূয়া/জাল স্বাক্ষর করে বিল উত্তোলনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। তিনি বিদ্যালয়ের নাম ভাঙিয়ে সরকারি খাস খতিয়ানের চন্দনীমহল মৌজার ৮নং খতিয়ানে ৪২৯৪ দাগে ১শতক, ৪২৯৫ দাগে ১শতক জমি দখল করে পাকা ইমারত নির্মাণ করেছেন।একই খতিয়ানের ৪৫৬৬ নং দাগে ৮৬ শতক ও ৪৫৬৭ দাগে ১৯ শতাংশ বিদ্যালয়ের জমি জোর পূর্বক দখল করে চাষাবাদ করছেন। এলাকাবাসী বিষয়টি নিয়ে কথা বললে বিভিন্ন ধরণের ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করা হয় বলে ৪৭জন স্বাক্ষরিত এক লিখিত অভিযোগে বলা হয়।
এসকল অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ফজলুর রহমানকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির অপর দু সদস্য হলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার মাকসুদা খানম ও উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার।