ঢাকা ০৩:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ জানুয়ারী ২০২৫, ২১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে আদমজী ইপিজেডে আন্দোলন করছেন চাকরি প্রত্যাশীরা

নিজস্ব সংবাদ :

শেখ নিয়াজ মোহাম্মদ মুন্না ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি

সিদ্ধিরগঞ্জে আদমজী ইপিজেডে চাকরিতে বৈষম্যের অভিযোগ এনে আন্দোলন করছেন চাকরি প্রত্যাশীরা।এতে রপ্তানিমুখী শিল্প
অঞ্চল ইপিজেডের মেইনগেট বন্ধ রাখা হয়েছে।ফলে ইপিজেডের যাতায়াত কার্যক্রম বন্ধ আছে। বর্তমানে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে ।

রোববার(১১ আগস্ট)সকাল থেকে শিমরাইল, আদমজী,চাষাঢ়া সড়কের আদমজী ইপি জেডের গেটের সামনে আন্দোলন করে যাচ্ছেন চাকরি প্রত্যাশীরা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় চারশো থেকে পাঁচশোর মতো চাকরি প্রত্যাশী এক ত্রিত হয়ে বিক্ষোভ করছেন। তাদের অভিযোগ চাকরির ক্ষেত্রে ছেলেদের অবমূল্যায়ন করা হয় আর মেয়েদের চাকরি দেওয়া হয়। এই অভিযোগ দীর্ঘদিনের। আজ কয়েকজন ছেলে চাকরির জন্য ইপিজেডে প্রবেশ করলে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা করাহয়।

এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনী সদস্যরা উপস্থিত হয়েছেন।তারা আন্দোলন কারীদের বুঝিয়ে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।

রক্তাক্ত অবস্থায় এক যুবক বলেন, আজ চাকরির জন্য তারা ৫ জন ইপিজেডের ভেতরে প্রবেশ করেন। তারা ই-স্টার নামক ফ্যাক্টরিতে গেলে তাদের আটকানো হয় এবং নিজেদের ছাত্র পরিচয় দিলেই তাদেরকে মারধর করা হয়।

আহত যুবক আরও বলেন, আমরা যখন ছাত্র পরিচয় দিই এতে আরও বেশি ক্ষিপ্ত হন হামলাকারীরা।

আপনারা মিছিল নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করেছেন কি না এমন প্রশ্নে ওই যুবক বলেন, আমরা চাকরির জন্য মিছিল করেছি।

তবে ই-স্টার নামক ফ্যাক্টরির একাউন্টস অফিসার দীপঙ্করের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা কারো ওপর হামলা করিনি। বরং আন্দোলনকারীরা আমাদের ফ্যাক্টরিতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে। আমাদের ফ্যাক্টরির ক্ষতি হয়েছে অনেক।

এ বিষয়ে আদমজী ইপিজেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুব আহমেদ সিদ্দিক বলেন, আন্দোলনকারীদের উপর হামলা করা হয়নি, তারা উল্টো ভেতরে প্রবেশ করে কয়েকটি ফ্যাক্টরিতে ইটপাটকেল মেরেছে। এরপর ফ্যাক্টরির কর্মকর্তারা তাদের আটকানোর চেষ্টা করেন। চাকরির ক্ষেত্রে ছেলেদের অবমূল্যায়নের প্রশ্নে তিনি জানান,এখানকার বেশিরভাগ কারখানায় মেয়েদের কাজ বেশি হয়ে থাকে, এজন্য মেয়েদের সংখ্যা বেশি। তবে আমি নিজেও তাদের বুঝিয়েছি,

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৬:১১:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ অগাস্ট ২০২৪
২৪ বার পড়া হয়েছে

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে আদমজী ইপিজেডে আন্দোলন করছেন চাকরি প্রত্যাশীরা

আপডেট সময় ০৬:১১:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ অগাস্ট ২০২৪

শেখ নিয়াজ মোহাম্মদ মুন্না ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি

সিদ্ধিরগঞ্জে আদমজী ইপিজেডে চাকরিতে বৈষম্যের অভিযোগ এনে আন্দোলন করছেন চাকরি প্রত্যাশীরা।এতে রপ্তানিমুখী শিল্প
অঞ্চল ইপিজেডের মেইনগেট বন্ধ রাখা হয়েছে।ফলে ইপিজেডের যাতায়াত কার্যক্রম বন্ধ আছে। বর্তমানে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে ।

রোববার(১১ আগস্ট)সকাল থেকে শিমরাইল, আদমজী,চাষাঢ়া সড়কের আদমজী ইপি জেডের গেটের সামনে আন্দোলন করে যাচ্ছেন চাকরি প্রত্যাশীরা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় চারশো থেকে পাঁচশোর মতো চাকরি প্রত্যাশী এক ত্রিত হয়ে বিক্ষোভ করছেন। তাদের অভিযোগ চাকরির ক্ষেত্রে ছেলেদের অবমূল্যায়ন করা হয় আর মেয়েদের চাকরি দেওয়া হয়। এই অভিযোগ দীর্ঘদিনের। আজ কয়েকজন ছেলে চাকরির জন্য ইপিজেডে প্রবেশ করলে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা করাহয়।

এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনী সদস্যরা উপস্থিত হয়েছেন।তারা আন্দোলন কারীদের বুঝিয়ে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।

রক্তাক্ত অবস্থায় এক যুবক বলেন, আজ চাকরির জন্য তারা ৫ জন ইপিজেডের ভেতরে প্রবেশ করেন। তারা ই-স্টার নামক ফ্যাক্টরিতে গেলে তাদের আটকানো হয় এবং নিজেদের ছাত্র পরিচয় দিলেই তাদেরকে মারধর করা হয়।

আহত যুবক আরও বলেন, আমরা যখন ছাত্র পরিচয় দিই এতে আরও বেশি ক্ষিপ্ত হন হামলাকারীরা।

আপনারা মিছিল নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করেছেন কি না এমন প্রশ্নে ওই যুবক বলেন, আমরা চাকরির জন্য মিছিল করেছি।

তবে ই-স্টার নামক ফ্যাক্টরির একাউন্টস অফিসার দীপঙ্করের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা কারো ওপর হামলা করিনি। বরং আন্দোলনকারীরা আমাদের ফ্যাক্টরিতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে। আমাদের ফ্যাক্টরির ক্ষতি হয়েছে অনেক।

এ বিষয়ে আদমজী ইপিজেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুব আহমেদ সিদ্দিক বলেন, আন্দোলনকারীদের উপর হামলা করা হয়নি, তারা উল্টো ভেতরে প্রবেশ করে কয়েকটি ফ্যাক্টরিতে ইটপাটকেল মেরেছে। এরপর ফ্যাক্টরির কর্মকর্তারা তাদের আটকানোর চেষ্টা করেন। চাকরির ক্ষেত্রে ছেলেদের অবমূল্যায়নের প্রশ্নে তিনি জানান,এখানকার বেশিরভাগ কারখানায় মেয়েদের কাজ বেশি হয়ে থাকে, এজন্য মেয়েদের সংখ্যা বেশি। তবে আমি নিজেও তাদের বুঝিয়েছি,